নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহেশখালী উপজেলার উপ-দ্বীপ ধলঘাটার বাইরের চরে জলদস্যুদের একটি ট্রলার আটকা পড়েছে বলে এলাকাবাসীর সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। আর এ সুযোগে আনুমানিক ৩০ লক্ষাধিক টাকার ইলিশ মাছ ভর্তি ট্রলারের মাছ ও মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়েছে স্থানীয় একটি ডাকাত দল।
অপরদিকে জলদস্যুরা জনতার উপস্থিতি টের পেয়ে অনেকে অস্ত্র ফেলে পালিয়ে গেলেও জনতা চর থেকে একটি লম্বা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশে দিয়েছে বলে প্রচারনা চালালেও তবে চরে ট্রলার আটকা পড়াকে কেন্দ্র করে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
একটি সূত্র বলছে ট্রলারটি সাগরে বেশি দিন থাকায় তলা ছিদ্র হয়ে ট্রলারের পানি প্রবেশ করায় জীবনের নিরাপত্তার জন্য ধলঘাটা চরে অবস্থান নেন মাঝি-মাল্লাসহ শ্রমিকরা।
তবে চট্টগ্রামের নামকরা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর ঐ ট্রলারটি তার বলে দাবি করলেও স্থানীয় এক জলদস্যুর চাপের মূখে কৌশলে ট্রলার মালিক দাবিদার বাঁশখালীর জাহাঙ্গীর চলে যান। প্রত্যক্ষদশীরা ট্রলারে ইলিশ মাছ ছাড়াও বেশ কয়েকটি তেলের ড্রাম, ৮টি ইঞ্জিনের পাকা, কয়েকটি জাল ও অনেক মুল্যবান জিনিস পত্র ছিল বলে জানান।
ধলঘাটার সচেতন মহল ও সুশীল সমাজ জানান, এফবি আল্লাহর দান নামক ট্রলারটি নিরাপদ হিসেবে ধলঘাটার সুতরিয়া বাজারের পশ্চিমের চরে আশ্রয় নেন। এসময় একটি জলদস্যু চক্র এটি ডাকাতি সংগঠিত করে।
ঘটনাটি ঘটেছে ৫ সেপ্টেম্বর রাতে। সংবাদ পেয়ে মাতারবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের আইসি আবদুল মালেক বিষয়টি জেনে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ট্রলারের মালিক দাবিদার জাহাঙ্গীরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসার এক পর্যায়ে চাপের মূখে বাড়ি ফিরে যায় ট্রলারের মালিখ জাহাঙ্গীর। পুলিশ ট্রলারটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইয়েদ এর কাছে জিম্মা দেয় বলে ও জাহাঙ্গীর জানান।
সর্বশেষ সাগরের জোয়ারের পানি ভাটা হবার পর পর উক্ত ট্রলারের পাহারাদার স্থানীয় চৌকিদার আবুল কাছিম ট্রলারের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি লম্বা বন্দুক দেখতে পায় বলে জানা গেছে। তবে লম্বা বন্দুকটি দেখার সাথে সাথে বিষয়টি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম ও আবদুল গফুর মেম্বারকে অবগত করেন। আবদুল গফুর মেম্বারের সহায়তায় কালারমারছড়া পুলিশ ক্যাম্পের মাধ্যমে অস্ত্রটি মহেশখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
তবে একটি সূত্র বলছে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অস্ত্রটি ট্রলারে দেওয়ায় হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাটি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ট্রলারটি মালিক জাহাঙ্গাগীর তার দাবি করলেও স্থানীয় শক্তিশালী ডাকাত গ্রুপের কাছে অসহায় হওয়ায় বাড়ি ফিরে গেছেন। একটি মহল মনে করেন প্রশাসন সুষ্টু নিরপেক্ষ তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। এদিকে মহেশখালী থানার ইনচার্জ বাবুল চন্দ্র বণিক আমাদের রামু কে জানান, ট্রলারটির ব্যাপারে থানায় জিডি করা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।