আবদুল হামিদ, বাইশারী:
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানী লিমিটেডের অধীনে ডিজিটালাইজের মাধ্যমে দেশের অধিকাংশ এলাকায় গ্রাহকদের টেলিফোন ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসলেও দীর্ঘ ৩৪ বৎসর পর ডিজিটালে রূপান্তরিত নাইক্ষ্যংছড়ি টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি এখনো মান্দাতা আমলেই রয়ে গেছে! পুরাতন সংযোগে ৪০টি লাইন থাকলেও ডিজিটাল করণের পর সংযোগ হয়েছে ৩৫টি। এতে ডিজিটালাইজ করণের প্রায় তিন বৎসর পার হলেও নাইক্ষ্যংছড়ি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ থেকে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি স্থাপিত হয় ১৭ জানুয়ারী ১৯৮১ইং সনে। তৎসময় ৫+৩৫ লাইনের একটি ম্যাগনেটো বোর্ড স্থাপনের মাধ্যমে নাইক্ষংছড়ি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম আরম্ভ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৯২ সনের নভেম্বরে ১০+৬০ লাইনে উন্নিত করা হয় এ এক্সচেঞ্জটি। যার মধ্যে ৪০টি সংযোগ চালু ছিল। সর্বশেষ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মান্দাতা আমলের উপজেলার টেলিফোন এক্সচেঞ্জ গুলো ২৫০ লাইনে রুপান্তরিত করার ঘোষনা দেন এবং সরকারের ডিজিটাইজের অংশ হিসেবে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ সনে উপজেলা টেলিফোন এক্সচেঞ্জ আনুষ্ঠানিক ডিজিটাল হয়।
কিন্তু ঘোষনায় ২৫০ লাইন হিসেবে প্রচার করা হলেও বর্তমানে এ এক্সচেঞ্জে সংযোগ রয়েছে প্রায় ৩৫টি। যা মান্দাতা আমলের লাইনের চেয়ে ৫টি সংযোগ কমে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, নাইক্ষ্যংছড়ি টেলিফোন এক্সচেঞ্জে কর্মরত লাইনম্যান মো: মিজানুর রহমান বলেন- পর্যাপ্ত তার (ক্যাবল) সংকটের কারনে চাহিদা থাকার পরও নতুন সংযোগ দেওয়া যাচ্ছেনা। পুরাতন অনেক সংযোগও এখনো দেওয়া হয়নি। ক্যাবল স্থাপন করা হলে ব্যাপকহারে গ্রাহক বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মনে করেন।
অপরদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানী লিমিটেড (বিটিসিএল) কক্সবাজার অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: আজহার আলী জানান, ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ রুপান্তরিত হওয়ার পর অনেকে মৌখিক ও লিখিত আবেদন করেছেন। কিন্তু উপজেলায় ক্যাবল সংকটের কারনে নতুন কোন সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। তবে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বিছামারা থেকে পাশর্^বর্তী গর্জনিয়া পর্যন্ত পুরাতন ও নতুন গ্রাহকদের সুবিধার্থে ক্যাবল স্থাপনের পরিকল্পনার কথা উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের নিকট অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।