আপনি যখন নতুন কাজে যোগ দেন তখন আপনার বয়স থাকে মাত্র ২২-৩০ বছর। প্রথমদিকে কাজের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে সময় লেগেই যায়। তবে কর্মক্ষেত্রে নিজেকে সেরা প্রমাণ করতেই হোক কিংবা অর্থ উপার্জনের জন্যই হোক সেই সময়ে আপনাকে কাজে যেতেই হয়। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজে যাওয়া আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।
এছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সবাই কাজেও দক্ষ হয়ে যায় তাই বেতনও বেড়ে যায়। যার ফলে বেশির ভাগ সময় অনেকেই বয়স বেড়ে গেলেও অবসর নিতে চায় না। কর্মক্ষেত্রে প্রায় সব অফিসেই অবসরের সময় ৬০ এর মধ্যেই রাখা হয়। কেউ কেউ এই বয়সে এসেও কাজ চালিয়ে যান। কারণ কর্মহীন জীবন কারোই ভালো লাগে না।
কিন্তু আপনি চাইলেই আপনার অবসরকে সুন্দর করে তুলতে পারেন। এছাড়া সারাজীবন কঠোর পরিশ্রমের পর জীবনের এই পর্যায়ে এসে কিছুটা আরামদায়ক জীবন কাটানোই উচিত। এই সময়ে আপনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। বিভিন্ন সুন্দর জায়গা থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।
একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ৪৩ বছর বয়সী এইচআর কর্মকর্তা সাহেলি মনে করেন, অবসর নেওয়ার জন্য ৬২ বছর সঠিক বয়স।
তিনি বলেন, আমি অনেক বয়স্ক ব্যক্তিকে দেখেছি যারা ৬০ বা ৬১ বছর বয়সে অবসর নিয়েছেন। তাদের দেখে জীবনের কঠোর পরিশ্রম শেষে ক্লান্ত মনে হয়। কেউ তাদের জীবনের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে উত্তেজিত থাকে, কেউ হতাশ থাকেন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন ৬২ বছর অবসর নেওয়ার সঠিক বয়স। কারণ এই সময়ে আপনার জীবনে আর্থিক সঞ্চয় থাকে। মানসিক ও শারিরীক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
তবে অনেকেই তাদের যথেষ্ট অর্থ উপার্জন না হলে কিংবা তাদের সঞ্চয় না থাকলে কাজ চালিয়ে যান। তাই অবসরের আগেই অবসরের জন্য পরিকল্পনা এবং সঞ্চয় করা উচিত।
একটি বিপণন সংস্থার ৩৫ বছর বয়সী এইচআর কর্মকর্তা অনুশা বলেন, সৃজনশীল কাজের ক্ষেত্রে মানুষ তাদের অবসর দেরিতে নেয়। তারা দ্রুত অবসর নিতে পছন্দ করে না কারণ তারা তাদের কাজ করতে ভালোবাসেন। তারা অফিসে এসে কাজ করে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভালো বোধ করে।
বাংলাদেশে অবসর গ্রহণের বয়স সীমা ৫৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। কিন্তু জটিলভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অবসর নেওয়ার কোনও সঠিক বয়স নেই। এটি ব্যক্তিগত চাহিদার উপর নির্ভর করে। পেশাদার লক্ষ্য, আর্থিক পরিস্থিতি এবং মানসিক সন্তুষ্টির উপর ভিত্তি করে একেক জন একেক বয়সে অবসর গ্রহণ করেন। কেউ ৪০ বছরেও নিতে পারেন, কেউ ৬০ বছরেও নিতে পারেন।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট