ডায়াবেটিস প্রতিরোধে পেয়ারার মতো উপকারী ফল আর নেই। পেয়ারা পাতা রক্তচাপের সমস্যা বা হৃদরোগকে কাছে ঘেঁষতে দেয় না। পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ভিটামিন সি ও পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে। তাই নিয়মিত পেয়ারা খেলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও কমে।
- পেয়ারায় ফাইবার বেশি থাকে, কিন্তু গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে পেয়ারা।
- শরীরের সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ব্যালান্স ঠিক রেখে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও পেয়ারা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্ট থাকে সুস্থ।
- পেট ভালো রাখতে পেয়ারা খাওয়া ভালো। এতে রয়েছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রপার্টিস, যা ডায়রিয়ায় ম্যাজিকের মতো কাজ দেয়।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে রোজ একটা করে পেয়ারা খেলে উপকার পাবেন।
- দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে পেয়ারা অব্যর্থ। গাজরের মতো ভিটামিন ‘এ’তে ভরপুর না হলেও পেয়ারা খেলে চোখ ভালো থাকে।
- ভিটামিন সি ও আয়রন প্রচুর পরিমাণে থাকার কারণে ডাঁশা পেয়ারা গলা, ফুসফুসে জমে থাকা কফ সারাতে সাহায্য করে।
- পেয়ারার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণও অসাধারণ। ফলে জীবাণুর মোকাবিলা করে দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে পেয়ারা। ফোলা মাড়ি বা মুখের আলসারের ক্ষেত্রেও পেয়ারা উপকারী।
- পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন বি থ্রি ও বি সিক্স, যা মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে মস্তিস্ক সচল থাকে।
- অনেক গুণের মধ্যে পেশির শিথিলতা বাড়িয়ে রিল্যাক্স করতেও সাহায্য করে পেয়ারা।
- শরীর চর্চা বা কাজের পর পেয়ারা খেলে স্ট্রেস দূর হবে সহজে।
সূত্র : সমকাল