রামুতে রোহিঙ্গা সংকটে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই এবং ব্যাপক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইপসার উদ্যোগে জিবিভি এবং নন জিবিভি স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় রামু উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউএসএআইডি ও ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) এর সার্বিক সহায়তায় আয়োজিত এ সভায় অতিথিবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রামু উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিব, রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নুরুল হুদা মজুমদার, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নুরে আলম মজুমদার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবু শামীম, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রীনা ও রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ।
সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন- ইপসার কর্মকর্তা জকি দেওয়ান। সভায় প্রকল্প কার্যক্রম উপস্থাপন করেন- ইপসা রামু উপজেলা ব্যবস্থাপক স্বপ্তর্শী বড়ুয়া। সাবিনা ইয়াছমিন এর সঞ্চালনায় সভায় প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রুপসানা আকতার রুপসী ও জান্নাতুল বকেয়া।
সভায় জানানো হয়- রোহিঙ্গা সংকটে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই এবং ব্যাপক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইপসার উদ্যোগ রামু উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ও আইনী সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নির্যাতন কিংবা হয়রানির শিকার যে কোন নারী ও শিশুর পরিবার বা ব্যক্তি চাইলে ইপসার এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও আইনী সেবা পাবে। মহৎ এ উদ্যোগটি তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারলে এর সুফল বৃদ্ধি পাবে।
সভায় বক্তারা বলেন- রামু উপজেলায় বাল্য বিয়ে, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশী। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি এবং সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠি না থাকা এর অন্যতম কারণ। এরপরও সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ পরিস্থিতি অনেক উন্নতি হয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নারী ও শিশু নির্যাতন ক্রমেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।