কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার চাঞ্চল্যকর গৃহবধু হত্যা মামলার প্রধান আসামী স্বামী আবু তাহের (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার র্যাব ১৫। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রামু উপজেলার চাকমারকুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
গ্রেপ্তার আসামী আবু তাহের (২৫) ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দরগাহ পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত মীর আহমদের ছেলে।
র্যাব জানায়, গত ১০ই মার্চ বিকালে ঈদগাঁও থানাধীন দরগাহ পাড়া সড়কের উত্তর পাশের চিকন ঝিরি সেতুর নিকট থেকে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা । পরে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে জানা যায় নিহত নারী ঈদগাঁও উপজেলার দরগাহ পাড়া এলাকার নুরুল আমিনের মেয়ে ফাতেমা আক্তার।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিগত দেড় বছর আগে আবু তাহেরের সাথে ফাতেমার বিয়ে হয়। এছাড়া তাদের দাম্পত্য জীবনে আফরান (২ মাস) নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে আবু তাহেরের পরনারী আসক্তিসহ বিভিন্ন কারণে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল।
গত ৭ই মার্চ থেকে ফাতেমা আক্তার নিখোঁজ হন। নিখোঁজ হওয়ার পূর্বে আবু তাহের ব্যবসার নাম করে ফাতেমাকে তার বাপের বাড়ি হতে ৬০ হাজার টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য মানসিক চাপসহ বৈদ্যুতিক তার দিয়ে শারিরীকভাবে নির্যাতন চালায়। এরপর থেকে ফাতেমার পরিবার তার কোন খোঁজ পায়নি।
নিখোঁজের তিনদিন পর উল্লেখিত স্থান হতে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয় । এ ঘটনায় নিহত ফাতেমার মা মোহছেনা বেগম বাদী হয়ে গত ১২ই মার্চ আবু তাহেরকে প্রধান আসামি করে তিন জনের নামে ঈদগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর র্যাব-১৫ কক্সবাজার এই সংক্রান্তে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে তৎপর হয়। কিন্তু হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী আবু তাহের গ্রেপ্তার এড়ানোর উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিতভাবে বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে । পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তার সুনির্দিষ্ট অবস্থান নিশ্চিত করে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামীকে ঈদগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।