প্রাথমিক স্কুলের মনিটরিং রিপোর্ট কর্তৃপক্ষকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। ডিপিইর পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন ইউনিট থেকে পাঠানো এক চিঠিতে দেশের সব বিভাগীয় কার্যালয়, জেলা ও উপজেলা অফিস এবং পিটিআই সুপারিনটেনডেন্টদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রমাণ অনুযায়ী বিদ্যালয়ে পরিবীক্ষণ জোরদার করতে কাজ করছে ডিপিই। সে প্রেক্ষিতে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর লক্ষ্য অনুযায়ী প্রতিটি শিশুর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে বিদ্যালয় পর্যায়ে পরিবীক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ নিয়মিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ই-মনিটরিং কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে। ই-মনিটরিং ড্যাশবোর্ড পর্যালোচনান্তে প্রতীয়মান হয় মাঠ পর্যায়ে অনেক কর্মকর্তার প্রমাপ অর্জিত হচ্ছে না এবং বিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য পরিবীক্ষণ পরবর্তী নির্দেশনার যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যা গুণগত পাঠদান প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলছে।
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে পরিবীক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করণের জন্য বিভাগীয় উপপরিচালক এবং জেলা/উপজেলা পর্যায়ের সব কর্মকর্তাদের নিম্ন বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
বিভাগীয় উপপরিচালকরা প্রতিমাসের ৫ তারিখের মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং পিটিআই সুপারিনটেনডেন্টগণের বিদ্যালয় পরিবীক্ষণ মূল্যায়ন পূর্বক প্রতিবেদন পরিচালক, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ বরাবর ই-মেইলে পাঠিয়ে নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক বিদ্যালয়ে যথাসময়ে আগমন প্রস্থানসহ গুণগত শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম নিশ্চিতকরণের জন্য নিম্নোক্ত প্রমাণ অনুযায়ী হোয়াটসঅ্যাপ পরিবীক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।
উপ-পরিচালক সপ্তাহে ১টি বিদ্যালয় এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট- সপ্তাহে ২টি বিদ্যালয়, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সহকারী পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট সপ্তাহে ৩টি বিদ্যালয়, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার ও ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর সপ্তাহে ৫টি বিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন।
ই-মনিটরিং এবং হোয়াটসঅ্যাপে প্রাপ্ত পরিবীক্ষণ ফলাফল/ গৃহীত পদক্ষেপ প্রতিমাসে প্রতিবেদন আকারে ৫ তারিখের মধ্যে পরিচালক, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ বরাবরে পাঠাতে হবে।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট