অর্পন বড়ুয়া:
শুধু ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হলে হবে না। কুসংস্কার ও কুপমন্ডুকতামুক্ত নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানবিক সমাজ বিনির্মাণে আলোকিত মানুষ হওয়া দরকার। তাই বৌদ্ধিক চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্ভুদ্ধ হয়ে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে চকরিয়া কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধিষ্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত বার্ষিক বৃত্তি, সম্মাননা ও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটা হিংস্রতা আরেককটা হিংস্রতার জন্ম দেয়। হিংস্রতা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা আলো চাই। বিবেকবান মানুষ ও আলোকিত সমাজ চাই। প্রজন্মই সেই আলোকিত সমাজ নির্মাণ করবে।
চকরিয়া বুদ্ধিষ্ট ফাউন্ডেশন সভাপতি প্রফেসর ড. দীপংকর শ্রীজ্ঞান বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সহ সভাপতি প্রমথ বড়ুয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কানুনগোপাড়া স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর দীপক তালুকদার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দীপক বড়ুয়া দীপু।
সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম কলেজের পালি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. অর্থদর্শী বড়ুয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রভাত বড়ুয়া।
চকরিয়া বুদ্ধিষ্ট ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাংশু বিমল বড়ুয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মহাসচিব ডাঃ ভাগ্যধন বড়ুয়া, যুগ্ম মহাসচিব মানিক বড়ুয়া, জেলা বৌদ্ধ সমিতির সহ সভাপতি পরিমল বড়ুয়া, চকরিয়া উপজেলা বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি বাবুল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক পটল বড়ুয়া, ব্যাংক কর্মকর্তা শাসন বড়ুয়া, বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিয় বড়ুয়া, উপজেলা বৌদ্ধ সমিতির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শিক্ষক সুজিত বড়ুয়া, শিক্ষক রনি কুমার বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গলাচরণ করেন চকরিয়া জেতবন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ জ্ঞানজ্যোতি ভিক্ষু। এসময় ৬২ জন বৌদ্ধ শিক্ষার্থীর মাঝে সম্মাননা ও বৃত্তির নগদ টাকা তুলে দেন অতিথিরা।