গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
ভারতীয় সিনেমায় প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসাবে লতা জার্নি শুরু করেছিলেন ১৩ বছর বয়সে। এরপর বলিউড সম্রাজ্ঞী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।
অর্থ, খ্যাতি কোনো কিছুরই কমতি ছিল না। তবুও ব্যক্তিগত জীবনে কুমারী থেকে গেছেন লতা। বিয়ে করেননি তিনি। নেই কোনো সন্তানও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, মৃত্যুর আগে ২০০ কোটি সম্পত্তি রেখে গেছেন এই গায়িকা। যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিন মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত বাড়ি ‘প্রভাকুঞ্জ।’ বুইক, শার্ভোলেট, বেন্টলি ফ্লাইং স্পার, মার্সিডিজ-এর মতো একাধিক অভিজাত গাড়ি।
খুব স্বাভাবিকভাবেই এই সুরসম্রাজ্ঞীর মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠেছিল, কে পাচ্ছেন তার এত সম্পত্তি? লতা মঙ্গেশকরের আইনজীবীর কথা অনুযায়ী, গায়িকার সমস্ত সম্পত্তি ট্রাস্টে চলে যাবে। লতা তার বাবার নামে একটি ট্রাস্ট চালাতেন। সেখানেই সম্পত্তি চলে যাবে।
যদিও কখনও শোনা গিয়েছিল, এই সম্পত্তি নাকি পেতে চলেছেন তার ভাই বোনদের মধ্যে কেউ! কিন্তু কে পাচ্ছেন, সে বিষয়েও কখনো পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে ট্রাস্টের টাকায় এখনই কারও কোনও অধিকার নেই। সেই টাকা সংরক্ষিত আছে সেখানকার জন্যই। পরবর্তীতে কী হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি প্রয়াত গায়িকার আইনজীবী।
তবে লতা মঙ্গেশকরের গাড়ি বা অন্যান্য জিনিস এখন তার পরিবারের সকলে মিলেই ব্যবহার করে থাকেন। কিছু জিনিস যত্নে তুলে রাখা হয়েছে। যা ব্যবহার করতেন লতাজি। পরবর্তীতে যদি কেউ তা জাদুঘরে সংরক্ষণ করে রাখতে চান তাহলে সেগুলো তখন দিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, লতা মঙ্গেশকর তার সুদীর্ঘ সংগীত জীবনে ৩৬ টি ভাষায় ৫০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন। ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ৯২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট