কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখলেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। নতুনের আহ্বানে পুরোনো সূর্যকে বিদায় জানাতে উত্তাল সমুদ্র সৈকতে সমবেত হয় হাজারো মানুষ। উপভোগ করেন বছরের শেষ সূর্যাস্ত। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে লাল সূর্য যখন ধীরে ধীরে সমুদ্রের বুকে অস্তমিত হচ্ছিল, তখন সবাই মেতে ওঠেন আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। হাত নেড়ে বিদায় জানান বছরের শেষ সূর্যকে।
বিকেলে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে, সমুদ্রে সৈকতে স্নান ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছেন পর্যটকরা। কেউ টায়ার টিউবে গা ভাসাচ্ছেন, কেউ জেটস্কি নিয়ে সাগর দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, কেউবা আবার ঘোড়া ও বিচ বাইকে উঠে সৈকতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
অনেকে মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক ও টেকনাফ সৈকতে ঘুরছেন। এছাড়া সেন্টমার্টিন, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, রামু বৌদ্ধপল্লী, চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ঘুরছেন কেউ কেউ।
বরিশাল থেকে আগত পর্যটক সিফাত বলেন, বছরের শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ করলাম। নতুন বছরে অনেক কিছু চাওয়া।
আরেক পর্যটক জিকু বলেন, বছরের শেষ সূর্যাস্তের সঙ্গেই প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির হিসেব নিয়ে বিদায় দিলাম আরও একটি বছর। ২০২৩ কে বিদায় দিয়ে ২০২৪ কে বরণ করে নিলাম। অনেক ভালো লাগছে।
এদিকে নিরাপত্তার কারণে উন্মুক্ত পর্যায়ে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে। এতে পর্যটক আগমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রতি বছর হোটেল-মোটেলে ৮০-৯০ শতাংশ আগাম বুকিং হলেও এ বছর একবারে কম।
হোটেল রয়েল টিউলিপের এজিএম নাভিদ চৌধুরী বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে উন্মুক্ত অনুষ্ঠান আয়োজনে বিধিনিষেধ ও নির্বাচনের কারণে পর্যটক তেমন আসেনি। প্রায় রুম খালি।
কক্সবাজার বার্মিস দোকানের ব্যবসায়ী আব্দুল হক বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে আতশবাজি ও ফানুস বিক্রি বেশি হয়। কিন্তু এই বছর পর্যটক না থাকায় ও নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিক্রি হচ্ছে না।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের পরিদর্শক গাজী মিজানুর রহমান বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে কক্সবাজার। ২৫টি টিম কাজ করবে বিচে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট