জেলার অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার মমতাজ বেগম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ১৬ জানুয়ারি, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৫মিনিটে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৩ বছর। তিনি এক ছেলে, চার মেয়ে, এক ভাই, এক বোন ও নাতিনাতনি সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে জোহরের নামাজের পরে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন, কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস জামে মসজিদের খতিব মাওলানা অহিদুল আলম। নামাজে জানাজা শেষে কক্সবাজার শহরের বইল্যাপাড়া কবরস্থানের স্বামী গোলাম হাসানের কবরের পাশে নারিকেল গাছের ছায়ায় তাঁকে দাফন করা হয়।
মরহুমা মমতাজ বেগম সহকারী শিক্ষা অফিসার হিসেবে ১৯৭৬ সালে পেশাগত জীবন শুরু করেন। কক্সবাজার সদর উপজেলা ও রামু উপজেলায় সহকারী শিক্ষা অফিসার হিসেবে সৎ, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান অফিসার হিসেবে দীর্ঘ চাকরি জীবন অতিবাহিত করেন। ২০০৭ সালে ১৫ এপ্রিল কর্মময় জীবনের শেষ দুই বছর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে থাকাকালীন, রামু উপজেলা থেকে ৩১ বছরের কর্মময় জীবন শেষ করেন।
মরহুমা মমতাজ বেগম কক্সবাজার পৌরসভার ম্যালেরিয়া অফিস সড়ক নিবাসী মরহুম গোলাম হাসানের স্ত্রী। কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মরহুম সুলতান মাস্টারের বড় পুত্রবধু।
তিনি কক্সবাজার পৌর শহরের প্রখ্যাত জমিদার টেকপাড়া নিবাসী মরহুম সৈয়দ আহমদ সপ্তম কন্যা, চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রফেসর নুরুল ইসলামের বোন।
মরহুমা মমতাজ বেগমের একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান জানান, দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মা মমতাজ বেগম দীর্ঘ ২ মাস ১ দিন চট্টগ্রামের এভার কেয়ার হাসপাতাল, ম্যাক্স হাসপাতাল ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৫মিনিটের সময়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে (নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র) তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। জীবদ্দশায় খুবই সৎ, আন্তরিক ও সুন্দর ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন তিনি। মরহুমা মমতাজ বেগমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন, মরহুমার একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান।