হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, নিজস্ব প্রতিবেদক
আমাদের রামু ডটকম :
গণিত দৌড়ে ইউনিয়ন ও থানায় প্রথম হওয়ার পর জেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের মুশফিকা নাজনিন আনিকা।
আনিকা মাঝিরকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক নম্বর শিক্ষার্থী। আন্ত:বিদ্যালয় ভিত্তিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার গণিত দৌড়ে কক্সবাজার জেলায় দ্বিতীয় হওয়ার পর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম ছিদ্দিকির হাত থেকে পুরুস্কার গ্রহণ করে আনিকা।
অজপাড়া গ্রাম থেকে এ অর্জনে নিজে আনন্দে উদ্বেলিত হওয়ার পাশাপাশি এলাকায় খুশির জোয়ার বইছে। আনন্দে আত্মহারা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুশফিকা নাজনিন আনিকা মাঝিরকাটা গ্রামের নুরুল আমিন ও সেতেরা বেগমের কন্যা এবং মৃত ছিদ্দিক আহমদ ও কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া গ্রামের মমতাজ সিকদারের নাতনী। বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সে প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হয়নি।
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ও আনিকার মামাতো বোন তাসমিন জাহান লুৎফা বলেন, আসলেই সে বহুমূখি প্রতিভার অধিকারী। পড়ালেখায় যেমন ভালো, তেমনি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায়ও সমান পারদর্শী।
আনিকা চতুর্থ শ্রেণীর শহীদ জিয়া শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেছে।
জানতে চাইলে মেধাবী শিক্ষার্থী মুশফিকা নাজনিন আনিকা আমাদের রামুকে জানান, বড় হয়ে সে অনেক বড় ডাক্তার হতে চায়। ডাক্তার হয়ে সমাজের অবহেলিত চিকিৎসা বঞ্চিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়।