এম. এ আজিজ রাসেল:
জেলায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার প্রথম দিনে কক্সবাজার জেলায় ৮৮৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেনি।
৩১টি কেন্দ্রে ২৪ হাজার ৭২৯ জন জেএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫০১ জন এবং ১৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৩১১ জন জেডিসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৮৩ জন প্রথম দিনেই পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেনি।
সকালে সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন। পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, জেলার সকল পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলমুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠ পরিবেশে পরীক্ষা নেয়ার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যাতে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোন প্রকার নিরপত্তা বিঘ্নিত না হয় সে জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনী সর্বদা সজাগ রয়েছে।
পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ পরীক্ষাকেন্দ্র মনিটরিংএর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আরও বলেন, এ সময় কেহ যদি অসদুপায় অবলম্বন করে সে যেই হোক না কেন তাকে কোনরূপ ছাড় দেয়া হবে না। এ জন্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক।
এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শাহীনুর ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ( অতি:দা: ) রামমোহন সেন উপস্থিত ছিলেন।
জেলা শিক্ষা শাখার তথ্যমতে, জেএসসি পরীক্ষায় মহেশখালী উপজেলার তিন কেন্দ্রের ৩ হাজার ১০০ জন পরীক্ষার্থী ছিল তৎমধ্যে ৬১ জন অংশ নেয়নি। কক্সবাজার সদর উপজেলার ছয়টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৯০ জন পরীক্ষার্থী ছিল ততমধ্যে ৭৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
রামু উপজেলার চারটি কেন্দ্রে ২ হাজার ১৪৬ জনের পরীক্ষার্থী ছিল তৎমধ্যে ৩৮ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেনি।
কুতুবদিয়া উপজেলার দুটি কেন্দ্রে ১ হাজার ৪৮৫ জন পরীক্ষার্থী ছিল তৎমধ্যে ১৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
পেকুয়া উপজেলার দুটি কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৬ জন পরীক্ষার্থী ছিল তৎমধ্যে ৪৮ জন অংশ নেয়নি।
উখিয়ার উপজেলার চারটি কেন্দ্রের ২ হাজার ৭১২ জনের মধ্যে ৯৩জন অনুপস্থিত ছিল।
টেকনাফ উপজেলার তিনটি কেন্দ্রে ১ হাজার ৬৭৬ জন পরীক্ষার্থী ছিল তৎমধ্যে ৩৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
চকরিয়া উপজেলার সাতটি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৪৩৪ জন পরীক্ষার্থী ছিল তৎমধ্যে ১৩৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ।
এদিকে জেডিসির প্রথম পরীক্ষায় চকরিয়ার তিনটি কেন্দ্রে ২ হাজার ১০৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭৭ জন অনুপস্থিত ছিল।
কক্সবাজার সদরের তিনটি কেন্দ্রে ২ হাজার ২৮০ জনের মধ্যে ৯৯ জন অংশ নেয়নি।
কুতুবদিয়ার একটি কেন্দ্রে ৫৯৮ জনের মধ্যে ২২ জন অনুপস্থিত ছিল।
মহেশখালীর দুটি কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৪৭ জনের মধ্যে ৫৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
পেকুয়ার দুটি কেন্দ্রের ৮৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৬ জন অনুপস্থিত ছিল।
রামুর দুটি কেন্দ্রে ৮৭০ জনের মধ্যে ৩০ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
উখিয়ার একটি কেন্দ্রে ৬১৩ জনের মধ্যে ২৭ জন এবং টেকনাফের একটি কেন্দ্রে ৬২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ জন অংশ নেয়নি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার আমাদের রামু কে এসব তথ্য জানান।