আমাদের রামু প্রতিনিধি:
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের কারণে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এ্সে কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী টালে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন মিয়ানমার তদন্ত কমিশনের সদস্যরা ।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টারসময় কমিশনের সাধারণ সম্পাদক জ্য মিন্ট পের নেতৃত্বে সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধিদল উখিয়ার বালুখালী টালে পরিদর্শনে যান। এ্রপর বালুখালী মসজিদের সামনে নির্যাতনের শিকার ৫০ নারী-পুরুষের সাথে কথা বলেছেন। ৪/৫জন রোহিঙ্গা সেখানকার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে হাত-পা ভাঙ্গা ও গুলির দাগ দেখান । উখিয়ার বালুখালী টালে এক হাজার দশটি পরিবার রয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি এনজিও সামান্য সাহায্য -সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা আবদুর রহমান ।
বৈঠকে থাকা লায়লা বেগম; আয়েশা বেগম, নুর আয়েশা বলেন , মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কর্তৃক ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে । নিজ দেশে সবাই ফিরতে চাই। সেখানে বাচাঁর নিশ্চয়তা দিতে হবে। আমাদের সহায়-সম্পদ ফেরত দিতে হবে।
মিয়ানমার সামরিক জান্তা নির্যাতন করেছে সেটা স্বীকার করেছে প্রতিনিধি দল । মিয়ানমারের পোয়া খালী গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল ফয়েজ বলেন প্রতিনিধি দলকে একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে ।সেখানে শতাধিক নির্যাতনের শিকার নারী-পুরুষের নাম রয়েছে। তাড়াতাড়ি মিয়ানমার ফিরতে চাই। মা-বাবা কে দেখতে চাই।
উখিয়ার বালুখালী টালের মাঝি খলিল বলেন- হাতে একদম কাজ নেই। কি খাব জানি না । সমাজের দানশীল ব্যাক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান । নুর জাহান বলেন স্বামী নেই, তিন ছেলে -মেয়ে নিয়ে কোন রকম বেচেঁ আছি।
আরেক ব্লকের মাঝি লালু বলেন- আমরা নিজ দেশে যেতে রাজি, তবে নাগরিকত্ব দিতে হবে। মিয়ানমার তদন্ত কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন,অ্যং তুন থেট,থুন মিনথ, নায়েট সোয়ে, থেথে জিন; কায়েন নেগাই,নায়ন থুন, অ্যং মিনথ,মংছিং থোয়াই, মায়েন্ট ও শাদুল্লাহ শ্হা।
এসময় ছিলেন কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা; সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুউদ্দিন মো:শিবলী. উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের।