নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ছিটমহলখ্যাত বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের বহুল সমালোচিত নাম সাখাওয়াত হোসেন। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও প্রকাশ্যে অস্ত্রনিয়ে ঘোরাফেরা ইত্যাদি নিয়ে জনমনে আতংকের ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছে। সে ছাত্রলীগের কোন কর্মী কিংবা নেতা না হয়েও নিজকে ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয় দেয়। সম্প্রতি সাখাওয়াত হোসেন মাদক দ্রব্য ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁর শিক্ষা এইচএসসি। গত কিছুদিন পূর্বে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়ার পর সাখাওয়াত বনে যান এলাকার ‘হর্তাকর্তা’। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ,প্রশাসনে তদবির, জমি দখল ও বিভিন্ন লোকের পক্ষ নিয়ে ভাড়া খাটা তাঁর পেশায় পরিণত হয়েছে।
কে এই সাখাওয়াত? চকরিয়া উপজেলাধীন বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বমুরকুল এলাকার বাসিন্দা মো. ফেরদৌস এর বড় ছেলে সাখাওয়াত হোসেন। গত উপজেলা নির্বাচনের সময় তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বমুবিলছড়ির ইউনিয়নের একব্যক্তি জানান, তার কাছে দুটি অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। সে গত কিছুদিন পূর্বে একজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালায়। তার এসব অপকর্মের তথ্য ফাঁস হলে এবং ছাত্রলীগের সংগঠন বিরোধী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাকে গত ২৮/০৯/২০১৪ইং তারিখ চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেফায়েতুল কবির বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদ হোসেন সাকিব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তীর মাধ্যমে তাকে দল থেকে বহিস্কার করেন বলে জানিয়েছেন। সর্বশেষ ১৭ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় লামা বাজারের কুটুমবাড়ী রেস্টুরেন্টে ক্রেতা সেজে বান্দরবান ডিবি পুলিশ দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী লামা পৌর প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ হোসেন বাদশার ছেলে মোঃ সাকিব ও বিলছড়ি পূর্বপাড়ার বাসিন্দা মৃত আবদুস সোবহানের ছেলে মফিজুর রহমান ১২শ ইয়াবা সহ গ্রেফতার করে। এসময় হোটেলের বাইরে অবস্থানকারী সাখাওয়াত হোসেন তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ফেলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে লামা থানার পুলিশ মোটর সাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। পলাতক সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
লামা থানার মামলা নং-০৭তারিখ ১৮.৩.২০১৭ ধারা ১৯৯০সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন (সংশোধনী)/২০০৪) এর ১৯(১)টেবিল ৯ এর(২৫)। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যমতে জানা যায়, লামা পৌরসভা, উপজেলা সদর ও আশপাশের এলাকায় ইয়াবা সরবরাহ করেন বমু বিলছড়ি এলাকার ফিরোজ আহমদ এর ছেলে মোঃ সাখাওয়াত হোসেন(২৫)। উখিয়া উপজেলার মরিচ্যার মোঃ সৈয়দ নুর ও বমু বিলছড়ির সাখাওয়াত হোসেন টেকনাফ হইতে ইয়াবার চালান সরাসরি লামায় নিয়ে আসেন। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় লামা তাদের কাছে নিরাপদ ইয়াবা জোন।
লামা পৌরসভার নয়াপাড়ার মোহাম্মদ হোসেন বাদশাহর ছেলে মোঃ সাকিব লামার বিভিন্ন পয়েন্টে ইয়াবা সরবরাহ করেন। মফিজ ও সাকিব দীর্ঘদিন ধরে নেশাজাতীয় মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করিয়া এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করিয়া আসিতেছে। ডিবির হাতে ধৃত মফিজ ও সাকিব পেশাদার মাদক ইয়াবা ব্যবসায়ী। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে মফিজ এ সকল তথ্য জানিয়েছেন।