রামু প্রতিনিধি:
রামুতে বালু মহালের ইজারা নিয়ে হরিলুট চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারিভাবে টেন্ডার এর মাধ্যমে প্রতিবছর বালু মহাল ইজারা দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু রামুতে কয়েকটি প্রভাবশালী সংঘবদ্ধ চক্র টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার পরও পে-অর্ডার এর অর্থ ফেরত নিয়ে পরে ডি,সি,আর এর মাধ্যমে নামমাত্র মূল্যে বালু মহাল নিজেদের আওতায় নেয়।
এভাবে অনিয়মের মাধ্যমে ইজারা নেয়ায় রামু উপজেলার বালু মহালগুলোতে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে মত দিয়েছেন রামুর কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও সচেতন ব্যক্তিবর্গ।
কচ্চপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন আমাদের রামুকে বলেন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের জাংছড়ি বালু মহাল চলতি সনে টেন্ডার আহবান করা হলেও অনিয়মের মাধ্যমে মাত্র ৫০ হাজার টাকায় ডিসিআর নিয়ে বালু মহালের কর্তৃত্ব নেয় একটি চক্র। এভাবে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে আবার ওই বালু মহাল ইজারা নেয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে চক্রটি।
তিনি জানান, রামু বাজারের পার্শ্ববর্তী বাঁকখালী নদীর বালু মহাল ২০ লাখ টাকার বেশি টেন্ডার হওয়ার কথা। সেটিও বিগত সনে নামমাত্র মূল্যে ভোগ করেছে প্রভাবশালী মহল।
জাংছড়ি বালু মহালের মতো রামুর অনেক বালু মহাল এভাবে অনিয়মের মাধ্যমে নিজেদের আওতায় নিয়ে লুটপাট করা হচ্ছে।
এ কারণে রামুতে সরকার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রশাসনের কতিপয় দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রভাবশালী, রাজনৈতিক ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা এ ধরনের টেন্ডার উপেক্ষা করে নামমাত্র মূল্যে ডিসিআর নিয়ে বালু মহাল ইজারা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
সচেতন মহলের অভিযোগ, নগদ টাকায় নিলাম ডাক দেয়া হলে বড় ধরনের এ অনিয়ম বন্ধ হয়ে যাবে। এতে সরকারও বিপুল রাজস্ব লাভ করবে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি দলের এক নেতা জানিয়েছেন, বালু মহাল ইজারা হতে আয়ের অর্থ উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন কর্মকান্ডে ব্যয় করা হয়। কিন্তু বালু মহাল ইজারায় বড় ধরনের অনিয়মের কারণে স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডও অনেক স্থবির হয়ে পড়েছে।
এ জন্য তিনি নগদ অর্থে রামুর বালু মহাল নিলাম দেয়ার দাবি জানান।