আমাদের রামু রিপোর্ট:
অবশেষে কক্সবাজার বেতারের দুর্নীতিবাজ আঞ্চলিক পরিচালক মো. হাবিবুর রহমানকে স্ট্যান্ড রিলেজ করা হয়েছে। তাকে কক্সবাজার বেতারের আঞ্চলিক পরিচালকের পদ (ভারপ্রাপ্ত) পদ থেকে অপসারণ করে সিলেট বেতারের উপ আঞ্চলিক পরিচালক হিসাবে বদলী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বেতারের মহা পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জনস্বার্থে এ আদেশ জারী করা হয়।
এ আদেশে বলা হয়েছে, এ আদেশ জনস্বার্থে জারী করা হলো এবং ৯.৭.২০১৭ খ্রিঃ অপরাহ্নে উল্লেখিত কর্মকর্তাকে ( মো. হাবিবুর রহমান) তার র্বতমান কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
উল্লেখ্য, স্থানীয়ভাবে শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চ্চাকে আরো বেগবান করা এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরার লক্ষে রামু,কক্সবাজার,মহেশখালী ও চকরিয়ায় ‘আলোকিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক চারটি বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কক্সবাজার বেতার। সরকারের এ রকম মহৎ উদ্যেগ বাস্তবায়নেই পুকুর চুরির মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন কক্সবাজার বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান। গুটি কয়েক শিল্পীর অংশগ্রহনে দায়সারাভাবে অনুষ্ঠান শেষ করা হলেও শিল্পীদের নামে বেনামে ভুয়া কন্ট্রাক্ট বানিয়ে প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকার ভুয়া বিল বানান তিনি। বাস্তবে এসব অনুষ্ঠানে ৩ লাখ টাকাও খরচ করা হয়নি। এছাড়াও চলতি বছরের মে ও জুন মাসে ২০ থেকে ত্রিশ জন শিল্পীর রেকডিং হলেও প্রায় চারশ জনের নামে বেনামে ভুয়া কন্ট্রাক্ট বানিয়ে সাড়ে ১৯ লাখ টাকার বিল করা হয়। যে তালিকা থেকে বাদ যায়নি মৃত ব্যক্তি,প্রবাসী,কারাগারে অন্তরীন ব্যক্তিও।
এসব অনিয়মের প্রতিবাদে এবং দুর্নীতিবাজ আরডি হাবিবুর রহমানের অপসারন ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে গত রোববার (২ জুলাই) কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে শিল্পীরা। তারও অনেক অনেক আগে থেকে দুর্নীতিবাজ আরডি হাববিুর রহমানের নানা অনিয়মের খবর তুলে ধরে বিভিন্ন জাতীয়,আঞ্চলিক ও স্থানীয় দৈনিকে তার দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
এসব সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বেতারের সদর দপ্তর এসব অনিয়ম তদন্তে ২ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করে। গত মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুই সদস্যর তদন্ত দল কক্সবাজার পৌছেই তদন্ত কাজ শুরু করে।
এ দলে রয়েছেন বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ ও আঞ্চলিক প্রকৌশলী মনজুরুল করিম। তিন দিনে তদন্ত কাজ শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁরা ঢাকা পৌঁছেন।
সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে,তদন্তে তার দুর্নীতি আশাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত দল ঢাকা পৌঁছার আগেই তাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে।