হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, স্টাফ রিপোর্টার
আমাদের রামু ডটকম :
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা। অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ বৈশাখ, তোমার চেয়ে আর কে বেশি জানে যে এ দুটো পঙ্ক্তি একজন কবির শুধু ঋতুবন্দনা নয়, কবি জীবনের কল্যাণে প্রকৃতির কাছে প্রার্থনা করেছেন।
বছর ধরে জমে ওঠা গ্লানি ও জীর্ণতাকে দূর করে ধরণীকে শুচি করার কথা বলেছেন। সারা বছরের আবর্জনা দূর হয়ে যাওয়ার মন্ত্র উচ্চারণ করেছেন। এই মন্ত্র ধূলিমলিন জরাগ্রস্ত পৃথিবীর চেতনা, যে বোধ জীবনের অবমাননা ঘটায়, তাকে দূর করে জীবনের দার্শনিক সুন্দরকে প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন কবিগুরু।
এদিকে বৈশাবী উৎসবে আনন্দমূখর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি। নানা আয়োজনে উদযাপন করা হচ্ছে বাঙালির অন্যতম সামাজিক উৎসব পহেলা বৈশাখ। এখন বৈশাবীকে ঘিরে উপজাতীয় পল্লীতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। যা ছড়িয়ে পড়েছে বাঙালিদের মাঝেও।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা ১৪২৩ নতুন বছরকে বরণ করেছে।
বৃহস্পতিবার প্রহেলা বৈশাখের সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম শাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে এক শোভাযাত্রা বের করা হয়। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ পালিত হয় নানা কর্মসূচী।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবির উদ্যোগে সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে পহেলা বৈশাখ। এ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার ৩১ বিজিবি মাঠে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চোচুমং মার্মা আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, নাইক্ষ্যংছড়িতে মারমা সম্প্রদায় আনন্দ র্যালি ও বুদ্ধস্নানের মাধ্যমে বৈশাবী উৎসব শুরু করেছে। আগামী ১৭ এপ্রিল তরুণ-তরুণীরা জলকেলির মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি ঘটাবে।
পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য মাষ্টার ক্যউচিং চাক আমাদের রামু ডটকমকে জানান, ১৯৮৫ সাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত উপজাতীয় বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে আনুষ্টানিকভাবে ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসব পালিত হয়ে আসছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজাতী পল্লীতে যা প্রাণের উৎসব হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে।