বিশেষ প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের রামু উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫ ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৮মে)। ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এসব ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনাও শেষ হয়েছে।
পঞ্চম ধাপে উপজেলার ঈদগড়, কাউয়ারখোপ, গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া ও রশিদনগর ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তবে প্রার্থী নির্বাচন সঠিক না হওয়ায় এ পাঁচ ইউপিতেই নৌকার ভরাডুবির আশংকা করছেন ভোটারেরা। ভোটাররা বলছেন,নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বেশিরভাগ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাই এগিয়ে থাকবে।
এদিকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিনা কাজী আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, ভোট মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। এ অধিকার প্রয়োগে যেনো কোনো বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি না হয়, মানুষ সুষ্ঠুভাবে যেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, এজন্য প্রশাসন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও র্যাব,পুলিশ, বিজিবি ও বিপুল সংখ্যক আনসার মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও যেকোনো ধরনের অনিয়ম ঠেকাতে প্রশাসন কঠোর অবস্থান থাকবে।
এদিকে ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেদারুল ইসলামকে রশিদনগর ইউনিয়নের রির্টার্নিং অফিসার, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. সলিম উল্লাহকে ঈদগড় ও কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের রির্টার্নিং অফিসার এবং প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.রুপেন চাকমাকে কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নের রির্টার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শনিবার অনুষ্ঠিতব্য ৫ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এসব প্রার্থীরা হলেন,
ঈদগড় ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ফিরোজ আহাম্মদ ভূট্টো (আনারস), দিদারুল ইসলাম (মটর সাইকেল), নুরুল আজিম (ধানের শীষ), মো.নুরুল ইসলাম বাঙ্গালী (নৌকা)।
কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে নুরুল হক (ধানের শীষ), এস এম আবদুল মালেক (মটর সাইকেল), মোস্তাক আহাম্মদ (ঘোড়া), মো. হানিফ (আনারস) ও শফিউল আলম (নৌকা)।
রশিদনগরে শাহ আলম (আনারস), সিরাজুল ইসলাম ঘোড়া) বজল আহমদ (নৌকা), ও আবদুল করিম (ধানের শীষ)। কচ্ছপিয়ায় জাকের আহমদ (আনারস), আবু মোহাম্মদ ইসমাঈল নোমান (ধানের শীষ), নুরুল আমিন (নৌকা)।
গর্জনিয়ায় গোলাম মওলা চৌধুরী (ধানের শীষ), তৈয়ব উলাহ চৌধুরী (নৌকা), মুহাম্মদ মুহিববুল্লাহ (মটর সাইকেল), মো. শাহরীয়ার ওয়াহেদ (ঘোড়া), সৈয়দ নজরুল ইসলাম (আনারস)।
আওয়ামীলীগের ভরাডুবির আশংকা:
সাধারণ ভোটার বলছেন,আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে অর্থ্যাৎ নৌকা মার্কার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের খুব বেশি বেগ পেতে হলেও প্রার্থী নির্বাচন সঠিক না হওয়ায় বেশিরভাগ ইউনিয়নে আওয়ামীগের প্রার্থীর ভরাডুবির আশংকা করা হচ্ছে। সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হলে এসব ইউনিয়নে বিদ্রোহীরাই উঠে আসতে পারে।
কয়েকজন ভোটার জানান,বিশেষ করে কচ্ছপিয়া, কাউয়ারখোপ, রশিদনগরে আওয়ামীগের প্রার্থী নির্বাচন সঠিক হয়নি। যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ তিন ইউপিতে আওয়ামীগের ভরাডুবির আশংকা দেখা দিয়েছে। এখানে বিদ্রোহীদের অবস্থা তুলনামূলক অনেক ভাল।
রামু থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর আমাদের রামু ডটকমকে জানিয়েছেন, যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ওইদিন র্যাব-বিজিবির পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
উল্লেখ্য রামুর অপর ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ জুন।