লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
মশা মারতে কামান দাগার দরকার নেই বরং তাড়াতে অবলম্বন করা যেতে পারে সাধারণ কিছু পদ্ধতি।
কয়েল, ধুপ, অ্যারোসল কিংবা বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করে দীর্ঘক্ষণ মশা মুক্ত রাখা সম্ভব নয়। আবার মশারোধী ক্রিম কার্যকর হলেও এই ধরনের ক্রিমে থাকা রাসায়নিক উপাদান ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে।
বেশিরভাগ মশার কামড়ে রোগ না হলেও সাধারণ মশার কামড় থেকে হওয়া চুলকানি-ই বা কম কিসে। সঙ্গে বিরক্তিকর মশার গান তো আছেই।
এসব যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে কীটপতঙ্গ-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে মশা দূরে রাখার কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল।
লেমন ইউক্যালিপ্টাস অয়েল:
ক্রিম মাখতে আপত্তি থাকলে এবং অ্যারোসল যদি ঘরের মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারে তবে ব্যবহার করতে পারেন লেমন ইউক্যালিপ্টাস অয়েল।
নিউ মেক্সিকো স্টেট ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক ডা. ইমো হ্যানসেন বলেন, “প্রক্রিয়াজাত লেমন ইউক্যালিপ্টাস অয়েলে ‘পিএমডি’ নামক একটি উপাদান থাকে, প্রাকৃতিক এই উপাদান মশা দুরে রাখে। তবে তিন বছরের কম বয়সি শিশুর ক্ষেত্রে এই তেল ব্যবহার করা যাবে না।”
পারমেথ্রিন:
এটি একটি কীটনাশক উপাদান। ওয়েস্টার্ন কানেক্টিকাট স্টেট ইউনিভার্সিটির পতঙ্গ বিশেষজ্ঞ নিতা কনেলি বলেন, “কাপড়ে ‘পারমেথ্রিন’ ছিটিয়ে দিলে তা প্রায় সব ধরনের কীটপতঙ্গ দূরে রাখবে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে এটি মশা মাছিও দূরে রাখে। এই উপাদানের বিশেষ ব্যাপার হল এটি কাপড়ে ছিটিয়ে দিতে হয়। তাই ত্বক যদি সংবেদনশীল হয়, তাতেও ঝুঁকি নেই। যারা দীর্ঘসময় ঘরের বাইরে কাটান তাদের জন্য এই উপায় উপকারী।”