নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ দীর্ঘদিন যাবত উত্তীর্ণ হওয়ায় হাই কোর্টের রিট পিটিশনের অনুবলে বর্তমান মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নিবার্চনের স্বার্থে নিবার্চন কমিটি গঠন করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহীন তানভীর গাজী।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে আহবায়ক এবং উপজেলা প্রকৌশলী ও শিক্ষা অফিসারকে নিবার্চন কমিটির সদস্য মনোনীত করে আগামী তিন মাসের মধ্যে অনুমোদিত ভোটার তালিকা অনুসারে নির্বাচন সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
রিট পিটিশনকারী বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী মুকুল এ ব্যপারে বলেন, বড়ঘোপ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পরে বর্তমান কমিটি কোনভাবেই বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির অফিস ব্যবহার করতে পারেনা।
রেজুল্যাশনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে নিবার্চন শেষ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত অফিস নির্বাচন কমিটি নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে ব্যবহার করবেন। কিন্তু বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওরঙ্গজেব মাতবর কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অফিসটি বেদখল করে রেখেছেন। অথচ নোটিসের মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির উক্ত সেক্রেটারীকে অত্র অফিস, ইউএনও দ্বারা গঠিত নিবার্চন কমিটিকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, সাবেক এই সেক্রেটারী বড়ঘোপ বাজার কমিটির ন্যূনতম সদস্য হওয়ারও যোগ্যতা রাখেননা। কেননা বড়ঘোপ বাজারে তার নিজস্ব কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই । এমনকি একটি পানের দোকানও নেই। তারপরেও দীর্ঘ চার বছরেরও অধিক সময় ধরে ক্ষমতার বাহুবলে বড়ঘোপ বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদটি হাতিয়ে নিয়েছেন। বিভিন্নভাবে ব্যবসায়দের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করছেন বলেও জানালেন তাদের অনেকেই। সাবেক এই সাধারন সম্পাদক বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে আতংকের মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে জানালেন বড়ঘোপ বাজারের ব্যবসায়ীরা।
এই ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে রেহায় পেতে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিবার্চনের প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।