দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক:
‘আত্তীকৃত কলেজ শিক্ষকদের যদি কেউ নন ক্যাডার তকমা দিতে উদ্যত হন তবে জাতীয়কৃত কলেজগুলোর নামের পুর্বে ‘জাতীয়কৃত’ অথবা ‘আত্তীকৃত’ শব্দ ব্যবহার করতে হবে। ‘সরকারি’ শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন না। একই সঙ্গে এসব কলেজে সরাসরি বি সি এস পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করাদের কাউকে জাতীয়কৃত কলেজে পদায়ন করা যাবে না।
বি সি এস শিক্ষা এসোসিয়েশনের সভাপতি ও মুন্সীগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মুহম্মদ মতিউর রহমান দৈনিকশিক্ষাডটকম’র সঙ্গে আলাপকালে উক্ত মন্তব্য করেন।
জন্ম থেকে সরকারি এমন কলেজ সারাদেশে পাঁচটিও হবে না মন্তব্য করে মতিউর রহমান বলেন, ঢাকা কলেজ, রাজশাহী কলেজ ছাড়া শুরু থেকেই সরকারি এমন আর কয়েকটি কলেজের নাম স্মরণে আনার চেষ্টা করেও পেলাম না।
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের মোট সরকারি কলেজের শতকরা ৯৮ ভাগেরও বেশি বেসরকারি কলেজ থেকেই জাতীয়কৃত হয়েছে গত চার দশকে। বড় আকারে জাতীয়করণ শুরু হয় এরশাদের আমলে। সেরা বেসরকারি কলজগুলোকেই জাতীয়করণ করা হয়েছে বিগত সরকারগুলোর আমলে। শিক্ষার মানোননয়নের লক্ষ্য বর্তমান সরকারও তা-ই করে যাচ্ছন। এতগুলো কলেজ জাতীয়করণ হয়েছে বলেই শিক্ষা ক্যডারের জন্য এত পদ সৃষ্টি হয়েছে। চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে, নতুবা এদেরকে বেসরকারি কলেজেই শিক্ষকতা করতে হতো। তবে, একথা প্রযোজ্য শুধু তাদেরই জন্য যারা বাই চয়েস কলেজ শিক্ষক, বাই চান্সদের জন্য নয়।’
আত্তীকৃত কলেজ শিক্ষকদের নন ক্যাডার ঘোষণার দাবিতে রিট দায়ের করার প্রস্তুতি নিয়েছে বি সি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কতিপয় সদস্য, দৈনিকশিক্ষাডটকম-এ এমন সংবাদ প্রচারের পর তোলপাড় সৃষ্টি হয় সদ্য জাতীয়কৃত ১৯৯ কলেজসহ সকল আত্তীকৃত কলেজ শিক্ষকদের মধ্যে। এ প্রক্ষিতে শুক্রবার (৮জুন) দৈনিকশিক্ষার সঙ্গে আলাপকালে এমন ব্যক্তিগত মতামত দেন মতিউর রহমান ,যিনি নিজে একজন আত্তীকৃত শিক্ষক।
তিনি বলেন, যারা আত্তীকৃতদের নন-ক্যাডার ঘোষণার স্বপ্ন দেখেন তাদের স্বপ্ন দিবাস্বপ্ন হিসেবেই থাকবে, কখনো বাস্তবায়ন হবে না। সরকারের ভালো কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলেও মনে করেন তিনি।
বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত কলেজ, মাদ্রাসা ও সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রয়েছেন। কলেজ শিক্ষকদের দুটি সংগঠন। একটির নাম বি সি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। এর সভাপতি আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার ও মহাসচিব মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী। ঢাকা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম খোন্দকার আর ঢাকা বোডের সচিব সহযোগী অধ্যাপক শাহেদ।
অপরটির নাম বি সি এস শিক্ষা এসোসিয়েশন। অধ্যক্ষ মতিউর রহমান যার সভাপতি। মহাসচিব ড. মুন্সী শরীফ উজ্জামান যিনি সরাসরি বি সি এস পরীক্ষা দিয়ে চাকরিতে প্রবেশ করেছেন। তিনি জয়পুরহাট কলেজের সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত।
শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র জাতীয় পত্রিকা দৈনিকশিক্ষার তথ্যভাণ্ডার থেকে কয়েকটি বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের তারিখসহ নাম দেয়া হলো। প্রথমেই সোনাগাজী ডিগ্রি কলেজ যা ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ ডিসেম্বর জাতীয়করণ হয়।