ইমরান হোসেন রুবেল, সৌদি আরব থেকে:
সৌদি শ্রম ও সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় আবারো প্রবাসীদের ওয়ার্ক পারমিট (মক্তবে আমেল) ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা সৌদি নাগরিকদের প্রবাসীদের সাথে শ্রম বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাড়তি সুবিধা দেবে।
বিভিন্ন শ্রম সুবিধা নিয়ে এক আলোচনায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আহমাদ আল হুমাইদান বলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র সৌদিদের জন্য দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি আন্তর্জাতিক মহলে মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। বিশেষ করে, যেখানে যেকোন ধরণের বৈষম্য দুরীকরণে সৌদি আরব আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরকারী একটি দেশ।
মন্ত্রণালয় বর্তমানে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গুলো রাত নয়টার মধ্যে বাধ্যতামূলক বন্ধ করার একটি প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করছে। ওয়ার্ক পারমিট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কিছু দিনের জন্য বিবেচনাধীন রাখা হয়েছে। এটা শ্রম বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু যা প্রবাসী কর্মীর সংখ্যা ও বর্ধিত চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণে শ্রম বাজারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফলবে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শ্রম বাজারের সমস্যা সমাধানে বিকল্প খোঁজায় আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো যোগ করে বলেন, ‘আমাদের সমস্যা গুলো বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে ভিন্ন। আমাদের বেকারত্ব এবং প্রবাসী নিয়োগের মত দুইটি বিষয়ই বিদ্যমান এবং সে কারণেই ভবিষ্যত উন্নয়নের স্বার্থে সকল সমঝোতার রাস্তা খোলা রাখা দরকার। আল হুমাইদান নিশ্চিত করেন যে, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সৌদি ও প্রবাসী কর্মীর মধ্যে বৈষম্য দুরীকরণের উদ্দেশে দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটির ধারণা এখনো প্রশাসনিক বিবেচনায় রাখা হয়েছে যেন আরো বৃহৎ আকারের গবেষনার মাধ্যমে গৃহিত সিদ্ধান্তের ফলে সকল পক্ষই উপকৃত হতে পারে।
পার্থক্যটা সহজেই অনুমান করতে পারবেন সাপ্তাহিক কর্মঘন্টা কমিয়ে ৪৮ ঘন্টা থেকে ৪০ ঘন্টা করলে সাপ্তাহিক ৮ ঘন্টা মাসিক ৩২ ঘন্টা কমে যাবে।
চিন্তা করতে পারেন কি কোন প্রতিষ্ঠানে মোট দশ হাজার কর্মী থাকলে তার কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে?
সূত্র: আরব নিউজ।