লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
ব্যক্তিগত কিংবা কর্মজীবন-যাই হোক না, অনেকেই নানা কারণে হতাশা কিংবা বিষন্নতায় ভোগেন।
সেক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বৈজ্ঞানিক উপায়ে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। এ আচরণগুলো মন এবং শরীর ভালো রাখবে। যেমন-
আশাবাদী হতে শিখুন :
জীবনের আলোকিত দিক খুঁজে পাওয়া সত্যিই প্রয়োজনীয়। গবেষণায় দেখা গেছে, আশাবাদী মানুষের মধ্যে স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ কম। এছাড়া নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে এবং ব্যায়াম করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে মানুষের আয়ুও বেড়ে যায়। ২০১৯ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা জীবনকে ইতিবাচকভাবে দেখেন তারা ৮৫ বছর বা তার বেশি সময়ও বেঁচে থাকেন।
স্বেচ্ছাসেবীর কাজ :
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কোনো কিছুর আশা না করে মানুষের জন্য বিনা স্বার্থে কাজ করেন তারা মনে অন্য ধরনের তৃপ্তি পান। এত শরীরও সুস্থ থাকে। গবেষণা বলছে, স্বেচ্ছাশ্রম মানসিক চাপ কমায়। সেই সঙ্গে হতাশাও দূর করে। এতে মানুষের আয়ু বেড়ে যায়।
এছাড়া গবেষণায় এটাও দেখা গেছে, যারা এতিমখানা কিংবা দুস্থদের জন্য অর্থ ব্যয় করেন তারাও মনে শান্তি অনুভব করেন।
কৃতজ্ঞ হওয়া :
বৈজ্ঞানিক ভাষায়, যে যত বেশি কৃতজ্ঞ থাকবেন তার মধ্যে ততই হতাশা, উৎকণ্ঠা কমে যাবে। সেই সঙ্গে তার মধ্যে আশাবাদও বাড়বে।
ঘুমানোর আগে প্রতিদিন নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ইতিবাচক কোনো ঘটনা লিখে রাখুন, তা যত ছোটই হোক না কেন। এতে আপনি জীবন নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠবেন। সেই সঙ্গে মন এবং স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হবে।
সামাজিক যোগাযোগ বাড়ানো :
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব মানুষ পরিবার, বন্ধু-বান্ধব অথবা নিজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে বেশি সম্পৃক্ত থাকেন তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে বেশি সুখী হন। যারা বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করেন, তাদের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষাকারীরা বেশিদিন বাঁচেন এবং জীবন নিয়ে আশাবাদী হন।
সূত্রঃ সমকাল