তোফায়েল আহমদ:
বিশ্বব্যাপি ক্রমবর্ধমান উঞ্চতা বৃদ্ধি ঠেকাতে বৃক্ষের কোন বিকল্প নেই।
বিশ্বব্যাপি ক্রমবর্ধমান উঞ্চতা বৃদ্ধি ঠেকাতে বৃক্ষের কোন বিকল্প নেই। একমাত্র বৃক্ষই পারে বিশ্বকে পরিবেশ সন্মত রাখতে। একারণেই বনজ সম্পদ বৃদ্ধির ব্যাপারে অধিকতর গণসচেতনতা সৃষ্টির তাগিদ উঠেছে রবিবার কক্সবাজারে অনুষ্টিত এক কর্মশালায়।
৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত ‘জলবায়ু সহিঞ্চু অংশগ্রহণমূলক বনায়ন প্রকল্পের অভিজ্ঞতা বিনিময়’ শীর্ষক দিনব্যাপি এ কর্মশালায় দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে বনায়নে সম্পৃত্ত করে বনাঞ্চল রক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কক্সবাজারের একটি তারকামানের হোটেলে বন বিভাগ, আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও ইপসা আয়োজিত এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আলী কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্টানে প্রধান আলোচক ছিলেন আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
এ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কেরামত আলী মল্লিক, আরণ্যক সমন্বয়কারী আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ইপসার মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
কর্মশালায় তথ্য প্রকাশ করে বলা হয়, বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে মোট বনভুমির পরিমাণ মোট ভুমির ১৭.৮ শতাংশ। অথচ এদেশের প্রকৃত বৃক্ষাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মাত্র ১১ শতাংশ। এ কারণে বিশ্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় সাড়ে ৩ বছর মেয়াদি জলবায়ু সহিঞ্চু অংশগ্রহণমূলক বনায়ন প্রকল্প কর্মসুচি হাতে নেয়া হয়।
প্রকল্পের আওতায় বন বিভাগ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ৯টি জেলা যথাক্রমে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সম্পৃত্ত করার পদক্ষেপ নেয়া হয়।
ইতিমধ্যে প্রকল্পে দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সম্পৃত্ত করে ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর বনায়নের পরিকল্পনা নিয়ে ৭ হাজার হেক্টর বনায়নের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সেই সাথে আরণ্যক ফাউন্ডেশন বিকল্প জীবিকানায়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে ব্যাপক দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে একাজে সম্পৃত্তের মাধ্যমে কর্মসুচিও বাস্তবায়ন করে চলেছে।
কর্মশালায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বনকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, এনজিও কর্মীরা অংশ গ্রহন করেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহনকারীরা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে প্রকল্পের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বরের পরেও বৃদ্ধির দাবি জানান।