গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ:
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে অনাবিল শান্তি, সেই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ঈদেৃর আনন্দে মেতে উঠেছে পর্যটন নগরী টেকনাফ পৌর শহর। এই শহরে ঈদুল আযহার দিন থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে টেকনাফ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় নাফনদীর উপর নব-নির্মিত জেটি। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্যে ঘেরা সৌন্দর্য্যে অপরুপ বিশাল এই জেটিটি দেখার জন্য এবং ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঈদুল আযহার উপলক্ষে হাজার হাজার নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতীদের ঢল নেমেছে এই জেটি দেখার জন্য।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে এই জেটির উন্নয়নের কাজ এখনো চলছে। অথচ জেটির পুর্ণ নির্মানের কাজ শেষ হতে এখনো অনেক দিন বাকি আছে। কিন্তু কাজের শেষ না হলেও সেই জেটির অপরুপ দৃশ্যটি দেখার জন্য প্রতিনিয়ত দেশী-বিদেশী শত শত মানুষের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পৌর এলাকা।
এব্যাপারে টেকনাফ সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের অভিমত, আর মাত্র কয়েকটি বছর পর পর্যটন নগরী টেকনাফ উপজেলার বিশ্বের দরবারে বৃহত্তম পর্যটন এলাকা হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে। কারণ টেকনাফ পৌর শহরের পশ্চিমে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, এই সৈকতের উপকুল দিয়ে তৈরী হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক, টেকনাফ পৌর শহরের পূর্ব দিকে রয়েছে সৌন্দর্য্যে লিলা ভুমি নাফনদী, প্রাকৃতিক দৃশ্যে ঘেরা কেউড়া বাগান, আরো রয়েছে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফনদীর মাঝখানে জল্যার দ্বীপ। এই দ্বীপটি আর মাত্র কয়েক মাস পর দেশী-বিদেশী পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠবে।
তার পাশাপাশি টেকনাফ পৌর শহরের দক্ষিণে অবস্থিত সাবরাং ইউনিয়নের খুরের মুখ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন এলাকায় হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে এসক্লুসিভ-জোন।