আমাদের রামু রিপোর্ট:
স্কুল থেকে ফেরার পথে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাত বছরের এক শিশুকে শ্লীলতাহানি করেছে একই এলাকার মনসুর আলম (২১) নামের এক নরপশু। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের রামুর ফঁতেখারকুল ইউনিয়নের হাইটুপি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পর স্থানীয়রা সেই নরপশুকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
শ্লীলততাহানির শিকার শিশুটি রামু বার্মিজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী এবং কাউয়াখোপ ইউনিয়ের বৈলতলী এলাকার মো. হাছানের মেয়ে। আর নরপশু মনসুর আলম পার্শ্ববর্তী লট উখিয়ারঘোনা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। এ ঘটনায় শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রীর মা হাছিনা আকতার রুনা বাদি হয়ে রামু থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিদিনের মতো সকাল নয়টার দিকে বিদ্যালয়ে আসে শিশুটি। বেলা সোয়া বারটার দিকে বিদ্যালয় ছুটি হলে একই এলাকার অন্যান্য সহপাঠির সাথে সেই শিশুটিও বাড়ি ফিরছিল। এ সময় বৃষ্ঠি শুরু হলে পথিমধ্যে শিক্ষার্থীরা সবাই হাইটুপি এলাকায় জনৈক আব্দুর সোবাহানের মুদি দোকানের বারান্দায় আশ্রয় নেয়। এ সুযোগে নরপশু মনসুর সেখানে গিয়ে ওই শিশুটিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি সুপারি বাগানে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক শিশুটিকে ম্লীলতাহানি করে। এ সময় শিশুটি চিৎকারি এবং চেঁচামেচি শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এসে নরপশু মনসুরকে ধরে ফেলে এবং শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্কুলে নিয়ে আসে।
রামু খিজারী বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমন বড়ুয়া আমাদের রামু কে জানান, এ ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত। ঘটনাটি কানে আসার সাথে সাথে আমি পরিচালনা কমিটির লোকজনকে অবহিত করি। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর কোনদিন পুনরাবৃত্তি না হয়।
রামু খিজারী বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুসরাত জাহান মুন্নীিআমাদের রামু কে জানান,ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা সেই নরপশু মনসুরের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর আমাদের রামু কে জানান,শিশুটির চেহারা দেখলে যে কোন মানুষের মন খারাপ হবে। শিশুটি নিজেই সব ঘটনা খুলে বলেছে। আবার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নরপশু মনসুর পুলিশের কাছে ঘটনার সবই স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা গ্রহন করা হয়েছে।