রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছর পরে, প্রথমবার সফল এপেন্ডিসেক্টোমি অপারেশন করা হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে নতুন করে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশনও চালু করা হয়েছে। গাইনী ও সার্জারি কনসালটেন্ট না থাকায় দীর্ঘ ৭ বছর সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিলো। হাসপাতালটিতে অপারেশন কার্যক্রম চালু হওয়ায় রামুবাসীকে এখন আর কক্সবাজার জেলা শহরে যেতে হয় না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের পূর্ব পাড়া এলাকার বাসিন্দা নাজমা আক্তার, তীব্র পেটে ব্যাথা নিয়ে গত সোমবার (৬ মার্চ) রামু হাসপাতালে ভর্তি হন। বিভিন্ন পরীক্ষার পরে সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা.আবু ইমরান নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে নাজমা আক্তারের এপেন্ডিসেক্টোমি অপারেশন করা হয়েছে। এনেস্থিসিয়া (অজ্ঞান) কনসালটেন্ট ডা. পুলক ধর, মেডিকেল অফিসার ডা. আবু সোয়েব, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রিপন চৌধুরী ও সিনিয়র স্টাফ নার্স এ অপারেশন কার্যক্রমে সাথে ছিলেন। নাজমা আক্তার নামে এ রোগীর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এপেন্ডিসেক্টোমি অপারেশন কার্যক্রম চালু করা হয়। বিনামূল্যে অপারেশনের পর নাজমা আক্তার সুস্থ আছেন।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া আমাদের রামু ডটকম কে বলেন, ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠার পরে, হাসপাতালটির ইতিহাসে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) প্রথমবারের মতো একজন রোগীকে এপেন্ডিসেক্টোমি অপারেশন করা হয়েছে। গাইনী কনসালটেন্ট না থাকায় দীর্ঘ ৭ বছর বন্ধ ছিলো সিজারিয়ান অপারেশন। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, হাসপাতালে কর্তব্যরত সকলের নিরলস চেষ্টার ফলশ্রুতিতে রামু হাসপাতালের দিন দিন বাড়ছে সাধারন মানুষের আস্থা। রামু হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা হিসেবে আমি গর্বিত। চিকিৎসক, নার্সদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় নিয়মিত অপারেশন কার্যক্রম চালু রয়েছে।
ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকার করেছেন। এর ফলশ্রুতিতে উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সহ জনবল ও আধুনিক যন্ত্রপাতি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ জন্যেই চিকিৎসার আধুনিকায়নকে কাজে লাগিয়ে রামু হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধিতে তৎপর রয়েছি।
এদিকে রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইতিহাসে প্রথমবারের মত সফল ভাবে এপেন্ডিসেক্টোমি অপারেশন সম্পন্ন হওয়ায়, চিকিৎসকসহ কর্তব্যরত সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান।