দীর্ঘ ২০ পর রামু উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল কমিটি ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয়েছে। শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে রামুর প্রাণকেন্দ্র চৌমুহনী স্টেশনে অনুষ্ঠিত হয়, উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। রাতে রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় কাউন্সিল অধিবেশন। আধ ঘণ্টা পর কমিটির ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার (১০ মার্চ) রাত ৮টায় কাউন্সিল অধিবেশন শেষ হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম বলেন, বিএনপি-জামায়াত সারা জীবনই খুনের রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র করেছে। নিজেদের রাজনীতি বাঁচিয়ে রাখতে সবসময় মিথ্যা কথা বলেছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্র তাদের মুখে আছে, অন্তরে নেই। যে কোন ষড়যন্ত্রই হোকনা কেন, যুবলীগই যথেষ্ট সেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য।
তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য, নিজেদের জন্য রাজনীতি করি না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধু কখনো ভোগের রাজনীতি করেন নাই, সবসময় ত্যাগের রাজনীতি করেছেন। বঙ্গবন্ধু চেয়ে ছিলেন, এদেশের মানুষের মুখে হাঁসি ফোঁটাতে, দেশকে স্বাধীন করতে। বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে সম্মান জনক জায়গা দিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চান।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম বলেন, যুবলীগের দায়িত্ব হলো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমুলক কাজগুলো মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া। যুবলীগের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে হবে। প্রতিযোগিতা থাকা ভালো, কিন্তু অসুস্থ প্রতিযোগিতা যদি থাকে, সেটা খারাপ। কোন অসুস্থ প্রতিযোগিতাকে ঠাই দেবো না। যুবলীগ প্রধানমন্ত্রীর ডাল হিসেবে থাকবে।
রামু উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রিয়াজ উল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় রামু যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর উদ্বোধক ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু- ঈদগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, রামু উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মন্ডল, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন আজম, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইশতিয়াক আহমেদ জয় প্রমুখ।
সম্মেলনের শুরুতে সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, শোকপ্রস্তাব উপস্থাপন করেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান ভূট্টো। সম্মেলনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ কক্সবাজার জেলা, পৌর আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কে হবেন নতুন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এনিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নেতৃত্বের মেরুকরণে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। যুবলীগের নেতৃত্বের যোগ্যতায় কে এগিয়ে, তা নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করছেন নেতা কর্মীরা।
রামুর যুবলীগ নেতাকর্মীরা মনে করছেন, রামু উপজেলা যুবলীগের শক্তিশালী কমিটি উপহার দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। যারা আগামী দিনে যুবসমাজকে নেতৃত্ব দেবেন। এ নেতৃত্বে থাকবেন পরিচ্ছন্ন ত্যাগী নেতারা। যারা যুবলীগের পতাকা তলে সব সময় সরব ছিলেন।