রামুর গর্জনিয়া বাজারে আগুন লেগে পুড়ে গেছে ২০টি দোকান৷ এ ঘটনায় এক প্রতিবন্ধী শিশু আগুনে পুড়ে আহত হয়েছে। দগ্ধ শিশুটি গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি আব্দুল হান্নানের ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী আয়াত উল্লাহ। তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
আগুনে পুড়ে গেছে দুইটি পোল্ট্রি ফার্ম, তিনটি ফার্মেসী, দুইটি কাপড়ের দোকান, দুইটি খাবার হোটেল, মুদির দোকান সহ বিভিন্ন ধরনের ২০টি দোকান। আগুনে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ী মৌলানা এহেসান, জাহাঙ্গীর আলম, মিজানুর রহমানসহ অনেকে।
বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ভোর রাত ৪টার দিকে গর্জনিয়া বাজার মাদ্রাসা এলাকার একটি চায়ের দোকানে আগুন জ্বলে উঠে। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকান গুলোতে। ভোর রাতে গর্জনিয়া বাজারে আগুন জ্বলে উঠলে, তাৎক্ষণিক বাজারের পার্শ্ববর্তী ফাক্রিকাটা, তিতার পাড়া, চাকমার কাটা, সিকদার পাড়া থেকে শত শত মানুষ এগিয়ে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। উপস্থিত জনতা একটি সেচপাম্প দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়।
পরে খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ছুটে আসে রামু উপজেলার ফায়ার স্টেশন ও সিভিল ডিফেন্সের দুইটি গাড়ি। সকাল ৬ টার দিকে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা আগুন নেভাতে সক্ষম হন বলে জানান, ফায়ার সার্ভিস রামু উপজেলা কার্যালয়ের টিম লিডার হাসান চৌধুরী।
মঙ্গলবার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে শুকমনিয়া খাবার হোটেলের বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
গর্জনিয়া বাজার অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি জোনের অধিনায়ক ও লেঃ কর্ণেল রেজাউল করিম, রামু থানা তদন্ত ওসি অরুপ কমার চৌধুরী, গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মাসুদ রানা, গর্জনিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ উল্লাহসহ আরো অনেকে।