মানিক বৈরাগী:
ঘাস ফড়িং এর লেজ ছুয়ে দিতে দিতে দৌড়ে যাব কাশবনে
লাল কাকড়ার চোখ খুজতে খুজতে কেটে যাবে বেলা,বেলা অবেলায়
চারু কাকড়ার নকশি কথা শিখতে হয়ে যাব দুরন্ত বৈরাগী,এভাবেই
সুকান্ত চিৎকারে ঘোষনা করেছিলাম জন্মের আজান।
কিন্তু পাড়ার বুদ্দিমান অগ্রজরা টেনে নিলো শিশু সংগটন “খেলাঘর”করো,
একদা স্কুলের ঘণ্টা বাজিয়ে ছুঠি ঘোষণা করল একদল উটকো তরুণ-যুবা
আমরা আনন্দে আত্মহারা হতে না হতেই একজন গলা ছেড়ে শ্লোগান ধরে
মুজিব হত্যার পরিনাম-বাংলা হবে ভিয়েতনাম,জুলিও কুরি শেখ মুজিব লও লও
লাল সালাম,তাজুলের রক্ত বৃথা যেতে দেব না,মজিদ খানের শিক্ষানীতি মানিনা মানিনা
এভাবেই যেতে যেতে হঠাৎ ঢাকায় নুর হোসেন শহীদ হলেন,স্বৈরাচারের এক চাম চা বললেন
পদত্যাগ পত্র জিরো পয়েন্টে উড়িয়া দেয়া যাবেনা, রাতের খবরে আশায় আম জনতা বটতলায়,
আবারো জয়বাংলা শ্লোগান এলো,স্বৈরাচার পদত্যাগ কোরেছে,আমরা নির্বাচনে গেলাম,কতিপয় মাওবাদি আবারো
ধুয়া তুল্লো আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় যাবে অগ্রিম বিরোধি দলের সাথে ভোটের আন্দোলনে নেমেছি,ক্ষমতায়
আওয়ামিলীগ যায়নি,তিন জোটের রূপ-রেখা ও বাস্তবায়ন হয়নি,থেমে নেই শিক্ষার সংগ্রাম।এভাই সোনালি তারুণ্য
শুরু হতে না হতেই উপনেবেশিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যুদ্ধে ছুটা-ছূটি ঢাকা-রাজশাহি-জাহিঙ্গির নগর ও চট্রগ্রাম।চট্রগাম
বিশ্ববিদ্যালয় এক জঙ্গী সাম্প্রদায়িক গোষ্টির ক্যন্টন মেন্ট,ভর্তি হলাম,ছাত্র সংসদ নির্বাচনে পরাজিত শিবির যৌথভাবে পা কাটলো।
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর দশ দফা,সাধের গণতন্ত্র সমাজ তন্ত্রের স্বপ্নে চোখে শুধু আধার দেখলাম।এভাবেই কেটে যায়
হাসপাতালিয় দুটি বছর,আবার ভোট ও ভাতের লড়াইয়ে জিতে যায় ২১বছর পর আওয়ামিলীগ,আমরা গ্রামে এক
নতুন নেতা উপহার পেলাম,আবারো পরাজয়,আবারো ৭১এর লোকানুর পালা,হলোনা আর জীবনের ঘাসফডিং এর
পাখনা খোজা,লাল কাকড়ার চোখ দেখা হলো না আর,সেই ফেরারি দিনে পিতা-মাতা হারানো ভাইয়ের ছুন্নত পালনের
জন্য,ধরে বেঁধে অচেনা নারীর সাথে যোগল হলো।প্রতিদিন হাজিরা লিপি লিখতে লিখতে আর তার কবিতা লেখা
হলোনা।প্রিয়তম পাঠিকা ক্ষমা করো তোমার লাল-ফিতার কবিতা লেখা হয়নি বলে।বাজার সদাই না হলে নারীর
অধিকার রক্ষা হয় না বলে।ক্ষমা করো।
লেখকঃ কবি মানিক বৈরাগী ১৯৭১ সালের ২৮ জানুয়ারি চকরিয়া পৌরসভার সিকল ঘাট,উত্তর লক্ষ্যার চর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রথম প্রকাশিত – ‘গহিনে দ্রোহ নীল’ গ্রন্থের মাধ্যমে সাহিত্য জগতে তাঁর আবির্ভাব ঘটে।