আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
প্রায় দুই শতাব্দি পর যিশুখ্রিস্টের সমাধি হিসেবে স্বীকৃত কবরের উপরিভাগ উন্মুক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। সমাধিটি ইসরায়েলের জেরুজালেমের হলি সেপালচর গির্জায় অবস্থিত।
সমাধিটি খনন ও গবেষণায় সহযোগী হিসেবে রয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এবং এথেন্সের ন্যাশনাল টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ববিদরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক অ্যান্টনিও মরোপউলো।খবর রাইজিংবিডির।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক তাদের এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সমাধিটির প্রথম স্তরে মার্বেল পাথর দিয়ে ঠাসা। মার্বেলের এই পাথর বসানো হয়েছিল ১৫৫৫ সালের দিকে বা তারও আগে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির (এনজিএস) প্রত্নতত্ত্ববিদ ফ্রেডরিক হেইবার্ট বলেন, ‘এটি পুননির্মাণ করতে হলে আমাদেরকে এর ভিত্তিমূল পর্যন্ত খনন করতে হবে। কবরটি ঢেকে রাখা মার্বেল পাথর সরানো হয়েছে। এর ভেতরে যেসব বস্তু রয়েছে তা দেখে আমরা বিস্মিত।’
তিনি বলেন, ‘এর জন্য দীর্ঘ বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজন। তবে ঐতিহ্য অনুসারে যে পাথরটিতে যীশুর মৃতদেহ শোয়ানো হয়েছে তার আসল পৃষ্ঠভাগ আমরা হয়তো দেখতে সমর্থ্য হবো।’
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুসারে, আনুমানিক ৩০ বা ৩৩ খ্রিস্টাব্দে যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই অবস্থায় তাকে ‘সমাধি বাক্সে’ রেখে কবর দেয়া হয়। পরে তিনি পুনরুজ্জীবিত হন। তাকে যে বাক্সটিতে রাখা হয়েছিল সেটি পরে খালি পাওয়া যায়।
‘সমাধি বাক্স’টি ঘেরা ওই ছোট্ট পরিসরটি ‘ইডিকিউল’ নামে পরিচতি। ল্যাটিন ভাষায় ‘ইডিকিউল’ শব্দের অর্থ ছোট ঘর। আগুন লেগে সমাধি ক্ষেত্রটিতে ক্ষতি হওয়ায় ১৮১৫ সালের দিকে এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়।