রামুতে দাখিল পরীক্ষায় নকল করা ও নকল করতে সহযোগিতা এবং পরীক্ষার হলে স্মার্টফোন ব্যবহার করায় এক পরীক্ষার্থী ও তিনজন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (৩ মে) সকালে রামু মেরংলোয়া রহমানিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বহিষ্কার করেন, কেন্দ্র সচিব ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ রফিক।
জানা গেছে, বুধবার সকালে রামু মেরংলোয়া রহমানিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে আরবি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে আকলিমা সুলতানা (রোল নং-২৪৬০৪১) নামে এক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় নকল করা এবং ওই পরীক্ষার্থীকে নকল করতে সহায়তা ও দায়িত্ব পালনে অবহেলা করায় হল পরিদর্শক খানে জাহান ও জয়নাল আবেদীনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সময়ে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের হলে পরীক্ষা চলকালে স্মার্টফোন ব্যবহার করে, আইন লঙ্গন করায় মুজিবুর রহমান নামে আরও একজন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব মাওলানা মোহাম্মদ রফিক জানান, নকল করার অপরাধে দক্ষিণ মিঠাছড়ি দাখিল মাদ্রাসার মানবিক বিভাগের ছাত্রী আকলিমা সুলতানা (রোল নং-২৪৬০৪১) এবং ওই পরীক্ষার্থীকে নকল করতে সহযোগিতা করা ও দায়িত্বে অবহেলা করায়, পরীক্ষা কেন্দ্রের হল পরিদর্শক কলঘর আবুবক্কর ছিদ্দিকী ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক খানে জাহান ও রাবেতা ক্যাডেট মাদ্রাসার শিক্ষক জয়নাল আবেদীনকে হল পরিদর্শকের দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সময়ে পরীক্ষা চলকালে পরীক্ষার হলে স্মার্টফোন ব্যবহার করে, আইন লঙ্গন করায় রামু মেরংলোয়া রহমানিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক মুজিবুর রহমানকে হল পরিদর্শকের দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা জাসান, বুধবার রামুর মেরংলোয়া দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে আরবি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় পরীক্ষা সংক্রান্ত আইন লঙ্গন করায় একজন ছাত্রী ও তিন শিক্ষককে দায়িত্ব পালন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃত শিক্ষকরা এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা ২০২৩ এর কোন পরীক্ষায় আর কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। তিনি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন না করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান।