ইংরেজিতে আক্কেল দাঁতকে উইজডম টিথ বললেও এর সঙ্গে আক্কেল বা জ্ঞানবুদ্ধির কোনো সম্পর্ক নেই। এরপরও অনেকেই মজা করে বলেন, আক্কেল দাঁত ওঠার অর্থ আক্কেল হয়েছে।
মানুষের ৩২টি দাঁতের মধ্যে সবচেয়ে বড় এ দাঁত। আক্কেল দাঁত কেন ওঠে? আর ওঠার সময় এত ব্যথা কেন হয়? সবার কিন্তু আক্কেল দাঁত ওঠে না, সেটাই বা কেন? এ প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘোরপাক খায়।
আক্কেল দাঁত কেন ওঠে?
মানুষের দাঁতের পাটির শেষ দিকের দাঁত হল আক্কেল দাঁত বা উইসডম টিথ। এ দাঁতগুলো সবচেয়ে বড় আকারের। আঁশযুক্ত খাবার চিবিয়ে খেতে সাহায্য করে এ দাঁত। সাধারণত আঠারো বছর বয়সের পরে আক্কেল দাঁত গজায়। তবে ষোলো-সতেরো বছরেও এ দাঁত ওঠতে পারে। তবে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর এমন দাঁতের জন্ম, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সুখকর নয়। বেশ ভোগান্তিতে ফেলে দেয় অনেককেই। শীতে এ ব্যথা হলে সহ্য করাটা খুবই কষ্টকর।
আক্কেল দাঁত আসলে সবার হয় না। অনেকের হলেও ব্যথার উপসর্গ থাকে না। কিন্তু কেন হয় আক্কেল দাঁত? মানব বিবর্তনের কারণে সাধারণত আক্কেল দাঁত বের হওয়ার জায়গা থাকে না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে নীচের দাঁত পুরোপুরি না গজালেও, উপরের দাঁত বেরিয়ে যায়। নীচের আক্কেল দাঁত এবড়ো থেবড়োভাবে গজালে, তা পাশের মোলার দাঁত নষ্ট করে দিতে পারে।
আর জায়গা না পেলে আক্কেল দাঁতের চাপে সে যে কী ব্যথা হয়, তা যাদের হয়েছে তারাই কেবল জানে। মুখ হা করতে সমস্যা, মুখ ফুলে যাওয়া, খাবার খেতে-গিলতে সমস্যা, সঙ্গে দাঁত ব্যথা থেকে জ্বরও চলে আসে অনেকের।
সমাধান কী?
তবে কি আক্কেল দাঁত তুলে ফেলাই কি সমাধান? কিছু ক্ষেত্রে এমনভাবে আক্কেল দাঁত গজায় যে, গালে ঘষা লাগে। একে বলা হয় বাক্কোভার্টেড উইসডম টিথ। এ ক্ষেত্রে হয়ত সরাসরি ব্যথা হচ্ছে না। তবে আক্কেল দাঁতের কারণে মুখের ভিতরে আলসার বা ওই দাঁত সংলগ্ন টিসুতে সমস্যা তৈরি হয়। তখন দাঁত তুলে ফেলা সমীচীন। আক্কেল দাঁত তীর্যকভাবে বের হলে, দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে যেতে পারে। এতে আক্কেল দাঁত ও তার পাশের দাঁতে ক্যাভিটি হতে পারে। এ জাতীয় সমস্যা হলেভ দ্রুতই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে জরুরি। কেননা দাঁত আমাদের দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশের একটি।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট